বুধবার বিকাল ৪টায় তদন্ত দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীরের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের দলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছায়।
আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি দেখার জন্য এসেছেন।
“আমরা ছাত্র-শিক্ষক সবার সঙ্গে কথা বলব। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আগের মত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যা করণীয় তা করার জন্যই এসেছি।”
তারা ছাত্র-শিক্ষক ছাড়া অন্যরা চাইলে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।
আলমগীর বলেন, “যদি কেউ বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালবাসেন বা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার ভাল পরিবেশ চান, তারাও আমাদের সঙ্গে গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজে এসে কথা বলতে পারবেন। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আন্দোলন, সহিংসতা, দুর্নীতির কোনো তথ্য, ভিডিও চিত্র, ছবি আমাদের দিতে পারেন।”
তারা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করে প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র দেখবেন বলে তিনি জানান।
তদন্ত দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ইউজিসির সদস্য ড. সাজ্জাদ হোসেন, ড. দিল আফরোজ বেগম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক কামাল হোসেন ও কমিটির সদস্যসচিব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মৌরি আজাদ।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সময়িক বহিষ্কার করার পর সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভিসি প্রফেসর খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
এ আন্দোলন ঠেকাতে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামলে বহিরাগত একদল হামলা চালায় শিক্ষার্থীদের উপর। হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবীর সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এদিকে মঙ্গলবার এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ভিসির প্রচারিত ‘অশোভন’ মন্তব্য শিক্ষার্থীদের ক্ষোভকে আরও উসকে দেয়। শিক্ষার্থীরা তারা বুধবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল বের করেন।